Logo

রাজনগরে পল্লীবিদ্যুতের অস্বাভাবিক বিল, বিপাকে ৬০ হাজার গ্রাহক

মো. ফরহাদ হোসেন / ৭৯৬
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩

মৌলভীবাজারের রাজনগরে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকদের অস্বাভাবিক হারে বিল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হঠাৎ এতো বিল আসায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ গ্রহকরা। জুলাই মাসে প্রচুর লোডশেডিং থাকার পরও এ অস্বাভাবিক বিল দেয়ায় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। পল্লীবিদ্যুতের কর্তারা বলছেন- এ মাসে অত্যধিক গরম থাকায় বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার হয়েছে তাই বিলও বেশি এসেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসের আওতায় কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের একাংশ ও লোহাইউনি চা বাগান রয়েছে। এ কার্যালয়ের অধীনে ৬০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুত সেবা গ্রহন করছে। প্রতি মাসে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বিল আসে। কিন্তু প্রতি মাসের তুলনায় সাধারণ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল জুলাই মাসে ৪০-৪৫% বিল বেশি এসেছে। কোথাও কোথাও ১০০% বেশি বিদ্যুৎ বিলের কাগজ গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের ক্ষেমসহস্র গ্রামের জুয়াহির আহমদ বলেন, আমার দুইটি মিটার। একটি মিটারে গড় বিল আসে ৭-৮শ টাকা আর অপরটিতে আসতো ১২-১৩শ টাকা। কিন্তু গত জুলাই মাসে আমার একটাতে এসেছে ১ হাজার ৯শ টাকা আর অপরটায় এসেছে প্রায় ৪ হাজার টাকা। প্রতিমাসে যা ব্যবহার করি এ মাসেও তাই ব্যবহার করেছি তাহলে এতো বিল কেন আসলো বুঝতে পারছি না।

 

 

উত্তরভাগ ইউনিয়নের কালারবাজারের ব্যবসায়ী আলিম উদ্দীন বলেন, আমার প্রতি মাসে ১১-১২শ টাকা বিল আসে। কিন্তু জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল ৪ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়ের কাছে গিয়েছি। উনারা ডিজিএম সাহেবের সাথে কথা বলার পর মিটার রিডাররা বলে মিটারে ময়লা থাকায় তারা দেখতে পায়নি। আমি বলেছি আগামী মাসে রিডিং নেয়ার সময় আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য।

 

 

রাজনগর বাজারের ইউনিয়ন রোডের পাশের বাসিন্দা মো. বদরুল ইসলাম সাহেদ বলেন, আমার মিটারে ১৫শ টাকার মতো বিল আসতো। কিন্তু জুলাই মাসে ৩৯০০ টাকা বিল এসেছে। অস্বাভাবিক হারে বিল আসায় আমরা বিপাকে পড়েছি।

 

 

রাজনগর বাজারের ব্যবসায়ী ভজন ঘোষ বলেন, আমার জুলাই মাসের আগে বিল আসতো ১৭শ টাকার মতো। কিন্তু এতো লোডশেডিং থাকার পরও জুলাই মাসে বিল এসেছে ৩১২০ টাকা। এতো বিল কেন দেয়া হলো তাদের কাছে কোন সদুত্তর নেই।

 

এব্যাপারে রাজনগর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. এমাজুদ্দিন সরদার বলেন, জুন মাসে মোটামোটি বৃষ্টিময় দিন গেছে। এতে বিদ্যুৎও কম ব্যবহার হয়েছে। এতে বিল কম এসেছে। কিন্তু জুলাই মাসটা পুরোই তাপদাহের মধ্যদিয়ে গিয়েছে। এতে প্রচুর বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। জুনে ৪৭ লক্ষ ইউনিট ব্যবহার হয়েছে কিন্তু জুলাইয়ে লোডশেডিং থাকার পরও বরমচাল এরিয়াসহ ৬৩ লক্ষ ইউনিট ব্যবহার হয়েছে। এতে স্বাভাবিক ভাবেই বিল বেশি আসবে। এরপরও মাঝে মধ্যে মিটার রিডারদের কারণে সমস্যা হয়। গ্রাহকরা এলে আমরা সমাধান করে দেই।


আরও পড়ুন
Theme Created By ThemesDealer.Com
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।