কয়েকদিন আগেই হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। ভারতের সেনাপ্রধানের পরেই বাংলাদেশ সফরে আসছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই এই পদক্ষেপ বেজিংয়ের বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে, ভূকৌশলগত, সামরিক ও বাণিজ্যিক কারণে এই সফরের দিকে তীক্ষ্ণ নজর থাকবে ভারত-সহ একাধিক রাষ্ট্রের বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
সূত্রের খবর, ৬ আগস্ট তিনদিনের ঢাকা সফরে আসতে চলেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ভূকৌশলকগত সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন ওয়াং। জানা গেছে, আগস্টের ৫ ও ৬ তারিখ এই সফরের প্রস্তাব দিয়েছিল চীন। ওই সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) বৈঠকে অংশ নিতে কম্বোডিয়ায় থাকবেন। তাই সফরসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন করেছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
এই সফর নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বলে রাখা ভাল, এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
দুই দেশের কৌশলগত সহযোগিতার পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী চীন। ওয়াং ই-র সফরের সময় দুই দেশের সম্পাদিত ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েই আলোচনা হবে। এ ছাড়া চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের প্রসঙ্গটিও আসতে পারে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। সেনাপ্রধানের বাংলাদেশ সফর কূটনৈতিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশকে একাধিক ক্ষেত্রে সাহায্য করতে সম্প্রতি চীনের তৎপরতা বেড়েছে। এমনকি ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুও চীনের প্রযুক্তি ও লোকবল দিয়েই তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি চীন থেকে যুদ্ধজাহাজও কিনেছে বাংলাদেশ।