জেলে গেলে পড়াশোনা করা লাগে না এ কথা শুনে নিজের বন্ধুকেই হত্যা করেছে এক কিশোর। নীরজ কুমার (১৩) নামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে হত্যা করে থানায় গিয়ে নিজেকে গ্রেফতারের আকুতি জানায় অভিযুক্ত দশম শ্রেণির আরেক ছাত্র। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কিশোর লেখাপড়ায় দুর্বল ছিল। এজন্য পরিবারের লোকজন তাকে পড়াশোনার জন্য চাপ দিতো এবং প্রায়ই বকাঝকা করতো। এক পর্যায়ে কোনোভাবে এই কিশোর জানতে পারে, জেলে গেলে পড়াশোনা করা লাগে না। এই শুনেই প্রতিবেশী ও বন্ধু নীরজ কুমার নামের এক কিশোরকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে।
পুলিশ জানায়, নিহত নীরজ এবং অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ি এক পাড়ায়। তারা একসাথে খেলাধুলাও করতো। তবে জেলে পড়াশোনা করা লাগে না এ কথা জানার পর থেকেই নীরজকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে সে। খেলার অজুহাতে সে প্রতিদিন সন্ধ্যায় নীরজকে নিয়ে বের হয়ে যেতো। তার লক্ষ্য ছিল দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারের নিচে নীরজকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা।
সোমবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেলে সে নীরজকে নিয়ে ওই জায়গায় যায়। সুযোগ বুঝে সে নীরজের গলা টিপে তার শ্বাসরোধ করে এবং এক পর্যায়ে কাঁচের বোতল দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পুলিশ জানায়, খুন করেই থানায় গিয়ে নিজেকে জেলে দেয়ার অনুরোধ জানায় এই অভিযুক্ত। পুলিশ প্রথমে তার কথা বিশ্বাস না করলেও পরে তার কথা মতো ঘটনাস্থলে গিয়ে নীরজের মরদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত কিশোরকে আপাতত সংশোধনাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।