উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় দোকান মালিকদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের জেএল নং ৩৫ এর দক্ষিণভাগ মৌজায় মুন্সিবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৩.৯০ শতাংশ এবং জেলা প্রশাসনের খাস খতিয়ানের ১.৩০ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা দোকানকোঠা নির্মান করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় কিছু মানুষ। এসব দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা সরকারী জায়গা থেকে সরিয়ে নিতে অবৈধভাবে থাকা ব্যবসায়ীদের বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ ঠেকাতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করতে থাকে। তবে প্রশাসন এব্যাপারে অনড় অবস্থান নেয়ায় গত সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে থাকা ব্যাবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে স্থাপনা ভাঙ্গতে মাইকিং করে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী, মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. জিয়া উদ্দিনের উপস্থিতিতে বুলডেজার মেশিনে গুঁড়িয়ে দিয়ে এসব দোকান উচ্ছেদ করা শুরু হয়। এসময় ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি করে মালামাল সরিয়ে নিতে গিয়ে বৃষ্টি থাকায় বিপাকে পড়েন। সব মিলিয়ে অবৈধভাবে দখলে থাকা ৮০টি দোকান উচ্ছেদ করে ৬৫.২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মুন্সিবাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আইয়ুব বলেন, কয়েক মাস আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। দোকান ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে গতকাল (সোমবার) মাইকিং করা হয়েছে। সড়ক ও প্রশাসনের জমি ছেড়ে দিতে সাবাই বাধ্য। তাই ব্যবসায়ীরা এব্যাপারে বাঁধা দিচ্ছেন না।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের আগে জানিয়েছি। তারা নিজেরা না সরানোর কারণে আমরা উচ্ছেদ করছি। উচ্ছেদ শুরু হওয়ার পর কিছু ব্যবসায়ী মালামাল সরাতে শুরু করেছেন। তবে ভাঙ্গার আগেই কেউ মালামাল সরিয়ে নিতে চাইলে বাঁধা দেয়া হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেছে। জেলা প্রশাসনের খাস ও সড়ক বিভাগের মিলিয়ে ৬৫.২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এখানকার প্রতি শতাংশ জমির বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।