দেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক স্টার সিনেপ্লেক্স প্রতিদিন চলবে সিনেমাটির ২৬টি শো। স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন শুক্রবার জানিয়েছেন, ‘আজ শুক্রবার, আগামীকাল শনিবার ও পরদিন রোববারের আমাদের প্রতিটি শো-ই হাউসফুল যাবে। আগামী তিন দিনের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে আমাদের। দারুণ সাড়া পাচ্ছি।’
রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ‘হাওয়া’র দৈনিক শো ১৩টি। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মার্কেটিং ম্যানেজার মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘এই পর্যন্ত সব শো হাউসফুল গেছে, বিকেল-সন্ধ্যার সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে আগেই। সিনেমাটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমরা।’
তবে, রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাত বলেছেন, ‘আমরা এখনো হাউসফুল পাইনি। তবে, বিকেল ও রাতে পাব বলে আশা করছি। আমরা অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেছি; সিনেমাটির ভালো হাইপ আছে।’
রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলেও দারুণ যাচ্ছে ‘হাওয়া’। আজ বিকেল ও সন্ধ্যার শো’র সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সিনেমাটির চলতি সপ্তাহের শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে সিনেস্কোপে। আজ থেকে শুরু হয়েছে আগামী সপ্তাহের টিকেট বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথের স্টার সিনেপ্লেক্স শাখা পরিদর্শনে এসেছিল ‘হাওয়া’ টিম। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের চঞ্চল চৌধুরী বলেছেন, “আমরা জানি টিকেটের চাহিদাটা একটু বেশি, অনেকেই টিকেট পাচ্ছেন না। সেজন্য একটু ধৈর্য ধরুন, আপনারা দেখতে চাইলে যত দিন পর্যন্ত চলা উচিত, আপনাদের দেখার জন্য তত দিনই আমরা সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ চালাব। ভালো লাগলে, গানটাকে যেভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন, সিনেমার কথাটা সবার কাছে বলুন।”
চঞ্চল আরও বলেন, “দর্শকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা, আপনারা প্রথম দিনেই আমাদের সময়টা এত সুন্দর করে দিলেন। আমরা আসলে চিন্তা করিনি যে ‘হাওয়া’ সিনেমা দিয়ে দর্শকের এত কাছে যেতে পারব…। যত জায়গার সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে, আমরা যতটুকু জানি সব জায়গায় হাউসফুল; এর জন্য আসলে দর্শকের কৃতিত্ব। আপনাদের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজ করি…।”
টিভি ফিকশন ও বিজ্ঞাপনের খ্যাতিমান নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় ‘হাওয়া’ সিনেমাটির গল্প মাঝসমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়া আট জন মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনিকে ঘিরে কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। মিস্ট্রি ড্রামা ঘরানার, ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি মূলত এ কালের রূপকথা। রূপকথানির্ভর সিনেমার প্রচলিত এ ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা বলে জানাচ্ছে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনি এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন।
পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন জানিয়েছেন, ‘এটি সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্প, যেখানে উপজীব্য সমুদ্র। গভীর সমুদ্র ও সেখানে মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে নির্মিত গল্পের চলচ্চিত্র। ৮ জন মাঝিমাল্লার ও একজন বেদেনিকে নিয়েই গল্পটি তৈরি।’
তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সংগীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।