Logo
সর্বশেষ :
রাজনগরে ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজনগরে বিএনপি’র বিজয় মিছিল প্রেস রিলিজ : অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেছার আহমদ সানি মৌলভীবাজারে কৃষকদলের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল রাজনগরে জনসংখ্যা দিবস উদযাপন রাজনগরে মিষ্টির কারখানায় ঢুকতে না দেয়ায় যুবদল নেতার হামলা, আহত ২ ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ ভেবে হত্যা করা হয় ‘আইনজীবী সুজনকে’ রাজনগরে ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল রাজনগরে দারুল ক্বিরাত এবং বয়স্কদের সহীহ্ কুরআন প্রশিক্ষণের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ কর্মচারীদের মধ্যে শিবিরের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

রাজনগরে আ’লীগের চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিএনপির দুইপক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : / ১৩৯৫
প্রকাশিত : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস কে নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল একটি অংশ চেয়ারম্যানকে দূর্ণীতির দায়ে অপসারিত ও ছাত্র জনতার ওপর হামলাকারী আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ মিছিল ও সভার ডাক দেয়। রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের আগে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার কমরুদ্দীন আহমদ ও তার ছেলে পঙ্কি মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এনিয়ে সকাল থেকে স্থানীয় মোকামবাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নকুল চন্দ্র দাসকে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের অভিযোগে গত ২৪ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে তিনি উচ্চ আদালতে রীট পিটিশিন করে আবারো পদ ফিরে পান। এরই মাঝে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটলে চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস ইউনিয়নে অফিস করতে পারেননি। সম্প্রতি এলাকায় গুঞ্জন ছড়ায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি কমরুদ্দিন আহমদের সহযোগিতায় ইউনিয়নে অফিস করছেন চেয়ারম্যান। এনিয়ে বিএনপির সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে রবিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সভার ডাক দেয়া হয়। বিক্ষোভ মিছিলে যাওয়ার আগে বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি কমরুদ্দিনকে আনতে যান কয়েকজন নেতাকর্মী। তিনি আসার সময় তার ছেলে পঙ্কি মিয়া এতে বাধ সাধেন। পরে পঙ্কি মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন বিক্ষোভে জড়ো হওয়া লোকজনকে ধাওয়া দিয়ে ব্যানার কেড়ে নিলে অপরপক্ষও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। এদিকে খবর পেয়ে রাজনগর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে।

 

 

বিক্ষোভ মিছিল ও সভার আয়োজনকারী ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য ইউনিয়ন সভাপতিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্বাস আলী ফোন দিয়ে বলেছেন। আমাদের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। এরপরও তিনি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যানের পক্ষ হয়ে মিছিলে বাধা ও নেতাকর্মীদের মারধর করে ধাওয়া দিয়ে ব্যানার কেড়ে নিয়েছেন।

 

এব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কমরুদ্দিন আহমদ বলেন, আমি বিক্ষোভ মিছিলের বিপক্ষে নই। আমি বলেছি আজকে না করে সকলের আলোচনার মাধ্যমে সময় ঠিক করে করা হবে। যারা দাওয়াত পায়নি তারা বাধা দিয়েছে।

 

রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতের কোন খবর এখনো পাইনি।


আরও পড়ুন
Theme Created By ThemesDealer.Com
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।