চায়ের দোকানের সামনে টাকার একটি বান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া গ্রামের সমছু মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া (১৮)। কৌতুহলী হয়ে হাতে নিয়ে দেখেন ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডেল। রাজমিস্ত্রী সহকারীর কাজ করা দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাকিব সততার নজির দেখিয়ে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিলেন পুরো টাকা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে সদর ইউনিয়নের ক্ষেমসহস্র গ্রামের জহির আহম্মেদ জোয়াহির ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে রাজনগর থেকে ময়নার দোকান হয়ে মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কর্ণিগ্রাম বাজারে চা খাওয়ার সময় তিনি টের পান ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডেল নেই। সাথে সাথে তিনি সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজেও টাকার সন্ধান পাননি। এদিকে কিছুক্ষন পর রাকিব মিয়া চায়ের দোকানের সামনে ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডেল পেয়ে হোসেন মিয়ার চা স্টলে রেখে যান। বিষয়টি হোসেন মিয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রকিব ও ব্যবসায়ী লিক্সন খানকে অবগত করেন হোসেন মিয়া। খবর পেয়ে জহির আহম্মেদ জোয়াহির উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে টাকা আনতে গেলে ইউপি সদস্য আব্দুর রকিব ও চা-স্টল মালিক হোসেন মিয়ার উপস্থিতিতে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেন রাকিব মিয়া।
জহির আহম্মেদ জোয়াহির বলেন, টাকাগুলো হারিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের রাকিব মিয়া এই টাকা পেয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। সে যে সততা দেখিয়েছে তা মনে রাখার মতো। সমাজে এমন মানুষ তৈরি হলে সমাজ বদলে যাবে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুর রকিব বলেন, টাকা পেয়ে আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাকিব ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমিসহ কয়েকজনের উপস্থিতিতে টাকার প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। ছেলেটি দরিদ্র হলেও অন্যের টাকার প্রতি লোভ করে নি। তার সততা দেখে আমি মুগ্ধ।