বন্ধুদের সাথে আড্ডা, গান, কৌতুক ও খেলার ছলে ১৬ বছর আগের পুরোনো স্মৃতি চারণ করা জীবনের এক বিশেষ স্মরণীয় মূহুর্ত। কৈশরের সেই স্মৃতিতে ফিরে যেতে মৌলভীবাজার জেলার এসএসসি ২০০৭ ও এইচএসসি ২০০৯ ব্যাচের বন্ধুরা মিলে আয়োজন করে বনভোজন ও মিলনমেলার। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজনগরের মাথিউরা চা বাগানের সবুজের কাছাকাছি গিয়ে যেন আরো প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছিল সব বন্ধুরা।
স্কুল ও কলেজ জীবনের বন্ধুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল জেলার বিভিন্ন এলাকায়। কেউ জীবন সংগ্রামে ব্যস্ত, কেউবা আবার ব্যস্ত সংসার-পরিবার নিয়ে। কিন্তু স্কুল জীবনের দূরন্ত সময়ে ফিরে যেতে চাইলেও যাওয়া যায় না। সম্ভবও নয় কারো পক্ষে। তবে প্রাণের ব্যকুলতা থেকে বন্ধুত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করতে উদ্যোগ নেয় কয়েকজন বন্ধু। ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের বন্ধুদের খুঁজে বের করে যুক্ত করা হয়। সেখানেই আলোচনা, আড্ডা চলে দীর্ঘদিন। একসময় ভার্চুয়াল জীবন ছেড়ে বাস্তবে দেখা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সবাই। সে থেকে উদ্যোগ নেয়া হয় মিলনমেলার। আলোচনা করে সময় স্থান নির্ধারণ করা হয়।
শুক্রবার সকালে রাজনগরের মাথিউরা চা বাগানে আসতে থাকে মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া বন্ধুরা। অল্প সময়ে মিলনমেলায় পরিণত হয় বাগানটি। পরিচিতি পর্ব শেষ হয়। সবার অংশগ্রহণে গান, কৌতুক, ধামাইল নাচে তাল মিলিয়ে মাতিয়ে রাখে পুরোটা সময়। এ যেন ত্রিশোর্ধ্ব যুবকদের ক্ষানিক সময় কৈশরে ফিরে যাওয়া। ফুটবল খেলায় মত্ত হয়ে হাসিঠাট্টা ও হৈহুল্লোড়ে মনে হয়েছে যেন “বয়সটা একটা সংখ্যা মাত্র”। এক কাতারে বসে খাবার খাওয়া, সুখ-দুঃখের আলাপে আবেগ যেন ছড়িয়ে দিয়েছিল প্রতি প্রাণে।
বন্ধুত্বই তো তৈরি হয় আবেগ থেকে। তাইতো সবাই এইদিনে শপথ নিয়েছে বন্ধন অটুট রাখার। এই বন্ধন সুদৃঢ় হোক, অটুট থাক বন্ধুত্বের মায়াজালে- সবার কথায় ফুটে উঠেছে এই আকাঙ্খা।
আয়োজনের উদ্যোক্তারা জানান, সুযোগ পেলে এমন আয়োজন হবে। আরো বন্ধুরা যুক্ত হবে। একে অন্যকে চিনবে-জানবে। এগিয়ে আসবে বন্ধুর বিপদে। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করবে একে অন্যের সাথে। তাই জেলার ০৭-০৯ ব্যাচের সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী।