মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুরিখাল গ্রাম থেকে গত ১৫ দিনে ৮টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরু চোরের উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন গ্রামের কৃষকরা। শেষ পুঁজিটুকু হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন কেউ কেউ। থানা পুলিশে অভিযোগ করেও গরু ফিরে পাননি কয়েকজন।
চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা জানান, গত শনিবার রাতে সুরিখাল গ্রামের আব্দুর রহমানের গোয়ালঘরের তালা ভেঙ্গে দুটি গাভী, একটি ষাড় ও একটি বাছুর নিয়ে যায়। নিজের শেষ পুঁজিটুকু হারিয়ে এখন তিনি গরুর সন্ধানে পথে পথে ঘুরছেন। এরআগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার ৩টি গরু গোয়াল ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায় চোরেরা। তবে ভোরে তার একটি ফিরে এলেও দুটি গাভী অনেক খোঁজাখুজি করে আর পাওয়া যায় নি। একই রাতে ওই গ্রামের লেবু মিয়ার গোয়াল ঘরের তালা কেটে চোরেরা একটি গাভী ও একটি ষাড় নিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগও করেন। কিন্তু গরুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সুরিখাল গ্রামে গরু চোরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন। নিজ উদ্যোগে পাহারা দিতে স্থানীয় কিছু মানুষ বৈঠকও করেছেন।
এদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীউড়া গ্রামের মো. আল আমিনের পাঁচটি গরু চুরি হয়। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় এই গরু চোরদের শনাক্ত করে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি গরু উদ্ধার করে গরুর মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গরুর মালিক বাবুল মিয়া বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আমার দুটি ও আমার চাচাতো ভাইয়ের দুটি গরু চুরি হয়। কিন্তু খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। আমার চাচাতো ভাই থানায় অভিযোগ করেছিলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে আমার চারটি গরু চুরি হয়েছে। এখন যে যেখানে বলছে সেখানেই গরুর খোঁজে দৌড়াচ্ছি। থানায় অভিযোগ করেছি। তারাও বলছেন বিষয়টি দেখছেন।
রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র হাজরা বলেন, আব্দুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিচ্ছি।
এ ব্যপারে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, সম্প্রতি গরু চুরির এক ঘটনায় আমরা ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। সুরিখালের গরু চুরির খবর জেনে থানার অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আমরা গরু উদ্ধারের চেষ্টা করছি।