মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার দক্ষিণ খারপাড়া গ্রামের খেলা বেগমের (৫০) ছেলে সৌদিআরব থেকে পাঠিয়ে ছিলেন ২৮ হাজার টাকা। সোনালী ব্যাংকের রাজনগর শাখা থেকে টাকা তুলেন তিনি। টাকা নিয়ে ব্যংকের নিচে আসতেই এক ব্যক্তি খেলা বেগমের সাথে কুশল বিনিময় করে। এসময় ওই ব্যক্তি তার আধ্যাত্বিকতার কথাও বলে। সে খেলা বেগমকে জানায়, তার ফুতে টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ ভাবে সে অনেককেই করে দিয়েছে। গ্রামের সহজসরল খেলা বেগম তার প্রলোভনে নিজের ছেলের কষ্টের রোজগার করা টাকা তুলেদেন ওই প্রতারকের হতে। টাকার ব্যাগে ফু দিয়ে খেলা বেগমকে বাড়িতে চলে যেতে বলে এবং বাড়ি না গিয়ে ব্যাগটি যেন না খুলেন এব্যাপারেও সতর্ক করে। তার কথায় বিশ্বাস রেখে বাড়িতে এসে খুলেন টাকার ব্যাগটি। কিন্তু টাকা দ্বিগুণ হওয়া দূরের কথা তিনি দেখেন মূল টাকাই তো ব্যাগে নেই। বিষয়টি দেখে খেলা বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কান্না আর বিলাপ করতে থাকেন।
খেলা বেগমের দেবর খালেছ মিয়া বলেন, টাকা দ্বিগুণ করে দেয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতারক টাকা নিয়ে গেছে। ব্যাংকের নিচ তলায় এনজিও সংস্থা আশার ও টিএমএসএস কার্যালয়ের সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরা খোঁজ করেন। কিন্তু সিসি ক্যামেরা সেটিং ঠিক না থাকায় প্রতারকের ছবি দেখা যায়নি। তারা বিষয়টি রাজনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, এমন ঘটনা আমি শুনি নি। আমরা যাচাই বাছাই করছি। অনেক সময় পারিবারিক বিভিন্ন ঘটনার কারণে এভাবে কেউ কেউ বলে থাকেন। রাজনগরে এ ধরনের ঘটনা নেই।