গরু চুরির দায়ে পুলিশ ও জনতার হাতে আটক হয়েছে একাধিকবার। চুরির অভিযোগে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি ও বাহিষ্কার করা হয়েছে। তবুও পাল্টে নি অভ্যাস। জেল খেটে জামিনে বাইরে বেরিয়েই আবার নিজেকে জড়িয়েছে গরু চুরিতে। পুলিশের অভিযানে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজনগর ও শমসেরনগর থেকে ওই বহিষ্কৃত নেতা বাবলাসহ ৩ জনকে এবার গরুসহ আটক করেছে রাজনগর থানার পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- রাজনগর উপজেলার উত্তর ঘড়গাঁও গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে নাইয়ার ছেলে মিজানুর রহমান বাবলা ওরফে বাবলা মিয়া (৩২), মেইন ঘড়গাঁও গ্রামের মৃত আরজান মিয়ার ছেলে মতিন মিয়া (৩৭) ও শমসেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর লাইনের শংকর রাজভরের ছেলে নার সামলু রাজভর(৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের নিতেশ্বর গ্রামে গরু চুরির সময় যুবদল নেতা বাবলা ও তার আরো দুই সহযোগিকে আটক করে গণপিটুনি দেয় জনতা। পরে চুরির কাজে ব্যবহৃত বিলাসবহুল প্রাইভেট কারসহ তাদেরকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়। এঘটনায় রাজনগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি-ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি বাবলা জামিনে বের হয়ে এসে আবারো গরু চুরিতে জড়িয়ে পরে।
গত ১৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজনগর সদর ইউনিয়নের তেলিজুড়ি গ্রামের আব্দুল গফফারের একটি গরু চুরির তদন্ত করতে গিয়ে বাবলাসহ কয়েকজন চোরের সংশ্লিষ্টতা পায় রাজনগর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এসআই শওকত মাসুদ ভূঁইয়া ও এসআই সুলেমান আহমদের নেতৃত্বে অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল। এসময় কমলগঞ্জের শমসেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর লাইন এলাকা থেকে নার সামলু রাজভরকে আটক করে গরু উদ্ধার করা হয়। পরে সন্ধ্যায় উত্তর ঘড়গাঁও গ্রাম থেকে বাবলা ও মেইন ঘড়গাঁও গ্রাম থেকে মতিন মিয়াকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজনগর থানার এসআই শওকত মাসুদ ভূঁইয়া বলেন, তেলিজুড়ি এলাকার একটি গরু চুরির ঘটনায় খোঁজখবর নিয়ে তাদের সংশিষ্টতার তথ্য পাই। পরে তিনজনকে শমসেরনগর ও রাজনগর থেকে আটক করা হয়। চুরি যাওয়া গরুটিও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।