রাজকথা ডটকম-এ সংবাদ প্রকাশের পর রাজনগরের ৪টি গ্রাম পরিদর্শনে এসেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে তারা রাজনগরের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের গয়াসপুর, করিমপুর, কাজিরহাট, টিকরপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করেন।
এর আগে গত শনিবার রাজকথা ডটকম – এ “রাজনগরে বানরের উৎপাতে অতিষ্ট ৪ গ্রামের মানুষ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে আরো কিছু জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরেই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে তৎপর হয় বন বিভাগ।
সোমবার দিনভর স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এসব গ্রামের বানরের হামলায় আহত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন বন কর্মকর্তারা। বানরের যাতায়াতের স্থানগুলো তারা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য শুনেন।
পরিদর্শনে আসা কর্মকর্তারা হলেন- মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষন কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার, বর্ষিজোড়া বিটের ফরেস্টার আবু নাঈম মো. নূরন্নবী, ফরেস্ট গার্ড ও জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউটসহ বনবিভাগের মোট ৬ সদস্যের একটি দল।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষন কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার বলেন, আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি। আহতদের বক্তব্য নিয়েছি। আসলে এখানে তো অনেক বানর। আমরা ভেবেছি ৪/৫টা হবে হয়তো। এতো বানর সরিয়ে দেয়া কঠিন হবে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো।
তিনি আরো বলেন, আশেপাশের বনে ফলের গাছ নেই দেখলাম। ফল গাছ না থাকায় এগুলো লোকালয়ে চলে আসে বলে মনে হয়েছে।