Logo

মৌলভীবাজারে বিকেলে পুলিশের হাতে ছিনতাইকারী আটক, রাতে মৃত্যু

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : / ৫৫৭
প্রকাশিত : রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩

মৌলভীবাজারে পুলিশের আটকের পর জসিম উদ্দিন নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) রাতে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

 

এর আগে শনিবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা থেকে তাকে আটক করেন মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের এএসআই শাকির আহমদ।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক জসিম উদ্দিন মৌলভীবাজার শহরের বেরিরচর এলাকায় বসবাস করেন। তার স্থানীয় ঠিকানা হবিগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। একটি মোবাইল চুরির জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জসিম মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। এরপর সন্ধ্যার দিকে আসামি জসিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ দাবি করে।

 

 

জসিমকে আটক করা এএসআই শাকির আহমদ বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মোবাইল চুরির জিডির প্রেক্ষিতে আসামি জসিম উদ্দিনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। থানায় আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মোবাইল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে আরও দুই অপরাধী সুফিয়া ও মারুফকে গ্রেপ্তারের জন্য বের হই। এরপর সন্ধ্যার দিকে আমার কাছে খবর আসে আসামি জসিম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

মৃত জসিমের বাবা আরজু মিয়া শনিবার রাতে হাসপাতালে বলেন, আমার ছেলেকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আমি ছেলের স্ত্রীকে থানায় পাঠাই। থানায় যাওয়ার পর তার মোবাইল বন্ধ পাই। পরবর্তীতে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি আমার ছেলের মরদেহ পড়ে আছে।

 

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা দেখে ইসিজি করান। ইসিজি রিপোর্ট আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।

 

এ বিষয়ে জানতে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ওসি হারুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় স্যার আমাদের মিডিয়ার মুখপাত্র। এ বিষয়ে কিছু জানতে হলে, উনার সঙ্গে কথা বলেন।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, পূর্ব থেকে তার হার্টে সমস্যা ছিল। আটকের পর অসুস্থ্যতা বোধ করলে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন
Theme Created By ThemesDealer.Com
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।