সংঘর্ষ হয়েছে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে। আর সেই সংঘর্ষের জড়িয়েছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ছাত্রলীগের এক পক্ষের হয়ে যুবদল নেতার আক্রমনাত্মক আচরণে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও তোলপাড় চলছে জেলা জুড়ে। মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গত বুধবার রণক্ষেত্র হয়। সেই সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন জুড়ী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলেমান আহমদ। তার অ্যাকশনের ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (৭ জুন ) দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল গ্রুপ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিছিল দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল গ্রুপের হয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলেমান আহমদ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলায় অংশ নেন। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবদল নেতা সুলেমান আহমদের অংশগ্রহণের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত বলেন, এ বিষয়টির খোঁজ নেয়া হবে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নেই। খোঁজ নিয়ে শক্ত এভিডেন্স পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান চুনু বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সুলেমান যুবদল করলেও সে সবসময় আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করে। সে আওয়ামী-যুবদল করে। বিএনপি’র কোন সভা সমাবেশে আমি তাকে কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং মৌলভীবাজার -১ আসনে বিএনপি’র কর্ণধার আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন মিঠুর সাথে ১০ জুনের অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে কথা বলবো এবং সুলেমানকে বহিস্কারের সুপারিশ দেবো।
এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম রেজা বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার -১ জড়ী বড়লেখা আসনে বিএনপি’র কর্ণধার আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন মিঠু সাহেবের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।