মৌলভীবাজারের রাজনগরে পুলিশের বাধার মুখে উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পূনর্মিলনী পণ্ড হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে এধরনের সমাবেশে প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি বলে জানা যায়। উপজেলা পরিষদ মাল্টিপারপাস হলরুমে সোমবার (২২ এপ্রিল) ঈদ পূনর্মিলনী করতে আবেদন করলেও অনুমোদন বাতিল করায় স্থান পরিবর্তন করে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান করতে অনড় ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের বাধার মুখে সেখানেও অনুষ্ঠান করতে পারেনি উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদ পূনর্মিলনী করতে আওয়ামী লীগকে উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত মাল্টিপারপাস হলরুমের বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে একই স্থানে ওইদিন যুবলীগ-ছাত্রলীগ ঈদ পূনর্মিলনী করতে হলরুমের বরাদ্দের জন্য পাল্টা আবেদন করায় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে আশঙ্কা করে হলরুমের বরাদ্দ বাতিল করে সবধরনের সভা-সমাবেশ না করতে সংশ্লিষ্ট আয়োজককে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে ভেন্যু পরিবর্তন করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান করতে অনড় থাকে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ও কামাল হোসেনের। তবে তাদের কেউ এসময় উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির ৩-৪ জন ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। সকালে কিছু নেতাকর্মী-সমর্থকরা অনুষ্ঠানস্থলে গেলে প্রশাসনের অনুমতি না নেয়ায় পুলিশ সবাইকে অডিটোরিয়াম থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়।
প্রধান ফটকের বাইরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। এসময় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর আর অনুষ্ঠান করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। ঈদ পূনর্মিলনীর নামে মূলত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা সভা করার চেষ্টা হচ্ছিল বলে মনে করছেন একাধিক আওয়ামী লীগের নেতা।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কোন সভা-সমাবেশ না করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গতকাল সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের চিঠি দেন। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে অডিটোরিয়ামে সভার আয়োজন করায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আমরা কাজ করছি। পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।
এব্যাপারে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমার বক্তব্য জানতে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।