আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে গণহত্যাকারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধের দাবিতে জুড়ীতে বিপ্লবী ছাত্রজনতার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার সময় এই বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি সমাবেশে মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন বলেন, “সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার কারণে এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িত সংগঠন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে অনতিবিলম্বে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত শাস্তি কার্যকর করতে হবে।”
ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের ভাইদের রক্তে ভেজা এই মাটিতে আর কোনো কালো ছায়া পড়তে দেব না। আমরা শান্তি চাই, আমরা ন্যায়বিচার চাই। যারা আমাদের শতসহস্র ভাইদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছে, তাদের আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থান নেই। তাদের বিচার হতেই হবে। আপনারা যদি আমাদের ভাইদের রক্তের মর্যাদা না দেন, তাহলে ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা আমাদের ভাইদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, এই রক্ত যেন বৃথা না যায়। রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না।”
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব ফোরামের সেক্রেটারি হাফিজ শাহাব উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুহেল আহমদ, ছাত্রনেতা ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রুয়েল আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য আমির হোসেন এবং যুব নেতা শাহিন আহমদ।
সমাবেশে বক্তারা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তারা জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান।