যান্ত্রিক ফুটবল আর অদম্য মানসিকতার জন্য ফুটবল বিশ্বে জার্মানির পরিচিতি আছে বেশ। বহির্বিশ্বে তাদের ডাকা হয় ‘ডি মেনশ্যাফট’ ডাক নামে, বছর সাতেক আগে যে নাম আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের করে নিয়েছিল জার্মানরা। তবে কাতার বিশ্বকাপের আগে সেই নামটা ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চার বারের বিশ্বকাপজয়ী দলটি। জানিয়েছে নিজ দেশে এই নাম নিয়ে সমালোচনার মুখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ডিএফবি।
২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে জার্মানি নিজেদের সবশেষ বিশ্বকাপটা জিতেছিল ব্রাজিলের মাটি থেকে। এর পরের বছরেই জার্মান কর্তৃপক্ষ ডি মেনশ্যাফট নামটিকে নিজেদের আনুষ্ঠানিক ডাক নাম হিসেবে ঘোষণা দেয়।
ডি মেনশ্যাফট বলতে মূলত দলটির স্বাতন্ত্র্যকেই বুঝানো হয়। তবে শেষ কয়েকটা টুর্নামেন্টে সে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি জার্মানরা। ২০১৮ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল দলটি। এর আগে ইউরো ২০১৬ আর পরে ইউরো ২০২০ থেকেও ফিরেছে খালি হাতেই।
জার্মান ফুটবল ভক্তদের মতে, এই নামটা একটু বেশি দাম্ভিকতা বহন করে। জার্মান দল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের প্রধান কার্যনির্বাহি হ্যান্স ইওয়াখিম ওয়াৎজকার অভিমত, সেই নামটা অন্য সব জাতীয় দলের প্রতিও যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করে না।
সম্প্রতি সেই ‘বিতর্কিত’ নামটাই ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ডিএফবি সভাপতি বার্ন্ড নুয়েনডর্ফ অবশ্য জানিয়েছেন, একটি গণভোটের পরই এসেছে এই সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘গণভোট আর নামের বিশ্লেষণের পর আমরা বলতে পারি, ডি মেনশ্যাফট নামটা বাইরে আমাদের বাড়তি পরিচিতি দেয়, আর এটা আমাদের টিম স্পিরিট আর সাফল্যের পরিচয় বহন করে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমাদের দেশের স্থানীয় ভক্তরা নামটাকে দেখেছেন সমালোচনার চোখেই। আর বিষয়টা আবেগি এক আলোচনায় পরিণত হয়েছে।’ স্থানীয় দর্শকদের চাওয়াটাকেই বড় করে দেখে জার্মানি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অনেক আগেই অর্জন করেছে জার্মানরা। মধ্যপ্রাচ্যে অনুষ্ঠেয় ফুটবলের প্রথম বিশ্বআসরে জার্মানি অবশ্য পড়েছে কঠিন গ্রুপেই। ‘ই’ গ্রুপে দলটি গ্রুপসঙ্গী হিসেবে পেয়েছে স্পেন, জাপান আর কোস্টারিকাকে।