রাজশাহী নগরীতে পাচার হওয়ার তিন দিনের মাথায় উদ্ধার হয়েছে স্কুলপড়ুয়া চার কিশোরী। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
পাচারকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় চাঁদনী খাতুন (৩০) নামে এক নারীকে। তিনি রাজশাহী নগরীর কোর্ট বুলনপুর এলাকার মো. সুরুজ আলীর স্ত্রী।
চাঁদনী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। উদ্ধার হওয়া চার কিশোরী একই এলাকার বাসিন্দা।
গত ২৬ জুলাই ফুসলিয়ে তাদের রাজশাহী থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের যৌন কার্যকলাপে নিযুক্ত করার উদ্দেশ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্কুলে যাওয়ার কথা বলে গত ২৬ জুলাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় চার কিশোরী। কিন্তু বিকেলেও তারা বাড়ি ফেরেনি। অভিভাবকরা সন্ধানে নেমে জানতে পারেন চাঁদনী খাতুন ওই চার কিশোরীকে নিয়ে মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বের গেট দিয়ে বেরিয়ে গেছেন।
ওই সময় চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। চাঁদনীর স্বামী সুরুজ আলী জানান, কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই তার স্ত্রী ঢাকায় যান। এক-দু সপ্তাহ পর ফিরেও আসেন।
তখনই ওই চার কিশোরীকে পাচারের সন্দেহ করেন স্বজনরা। এ নিয়ে এক কিশোরীর বাবা নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপরই ৪ কিশোরীকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্ত চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তার হেফাজতে থাকা ৪ কিশোরীকেও উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ওই নারী স্বীকার করেছেন, যৌন কার্যকলাপে নিযুক্ত করার উদ্দেশ্যেই কিশোরীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিয়েছে।