সম্প্রীতির বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যের প্রয়োজন। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রুঁখে দাড়াতে হবে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৫ টায় শহরের পৌর কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘সম্প্রীতির পথে, সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানিয়া সুলতানা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
এসময় পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন,
পাকিস্তান আমলে আমাদের রাষ্ট্রটা ছিল সাম্প্রদায়িক কিন্তু সমাজ ছিল অসাম্প্রদায়িক। আর এখন আমাদের রাষ্ট্রটা অসাম্প্রদায়িক কিন্তু সমাজটা হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িক। মাত্র ৫% সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর জন্য আমরা দেশটাকে সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে পারছি না তাদের চালাকির কারনে। বিশ্বে প্রতিনিয়ত অঘটন ঘটছে অসভ্যদের দ্বারা, সেই অসভ্যদের দ্বারা বাংলাদেশেও মাঝে মাঝে কিছু অঘটন ঘটছে। আমরা মৌলভীবাজারে প্রথম যখন কমিটি গঠন করেছিলাম তখন সৈয়দ মহসিন আলীকে বলেছিলাম এটির সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো পরবর্তীতে তিনি ইন্তেকাল করেন। আব্দুল গাফফার চৌধুরী ও অধ্যাপক আনিসুলসহ আরো অনেকেই আমাদের সাথে জড়িত থেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।
সদস্য সচিব ড.মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, মুক্তবুদ্ধির চিন্তায় বিশ্বাসী হতে হবে। তিনি আরও বলেন সম্প্রীতির বাংলাদেশ’র প্রথম যে সভাপতি ছিলেন তিনি একজন মাওলানা ছিলেন। কিন্তু এখন একজন মাওলানা এর সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখবে না।
খ্রিস্টান সম্প্রয়দায়ের পক্ষ থেকে আইফান সমাদ্ধার বলেন, যদিও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য তাদের ভিত্তি কিন্তু অনেক শক্তিশালী রয়েছে। আমরা ছোটবেলা আমরা যা ইচ্ছা তাই করতে কিন্তু এখন বিভিন্ন পরিবার থেকে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে,তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের প্রতি অনুৎসাহী করা হচ্ছে। এগুলো থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মৌলভীবাজার পৌরসভা’র মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, আমরা সম্প্রতির বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা সম্প্রতির মৌলভীবাজার গঠন করতে চাই। যেখানে যা যা সংযোজন -বিয়োজন করা লাগে আমরা তা করবো। ইতোমধ্যে মৌলভীবাজার পৌরসভার সম্মুখে একটি মুক্তমঞ্চ করে দিয়েছি,এখানে যে কেউ কোনো প্রকার বাধা বিপত্তি ও ফি ছাড়াই তাদের সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারবে।