রাজধানীর নারিন্দা এলাকায় ঘিরে রাখা সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সাড়ে ১০টা থেকে নারিন্দার ফকিরচান সর্দার কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরের একটি দোকানে অভিযান চালাই এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা এই জায়গার খোঁজ জানতে পারি। পরে আমরা এই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, এখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বোতল পেয়েছি যার মধ্যে এই মাদক মিশ্রিত পানি রয়েছে। এ ছাড়া ইয়াবার মিক্সার, গাঁজার মিক্সার, টলুইন আমরা পেয়েছি। এটি মূলত এই মাদক মিশ্রিত পানীয় উৎপাদনের কারখানা ছিল। কারখানার মালিক হেকিম মো. নাঈমের ছেলে শান্তকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচজনকে আটক করেছি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে তারা ফার্মেসির নামে লাইসেন্স নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রির আড়ালে মাদক ও যৌন উত্তেজক দ্রব্যাদি মিশ্রিত পানীয় প্রস্তুত ও বিক্রি করে আসছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি, মাদক মিশ্রিত এই পানীয়ের প্রতিটি বোতল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতো। বড় বোতলগুলো বিক্রি হতো ২০০ টাকায়। গত দুই-তিন বছর ধরে তারা ঢাকার কয়েকটি আউটলেটের মাধ্যমে এসব বিক্রি করে আসছিল। সবগুলো আউটলেটে তার ফার্মেসির লাইসেন্সও ছিল।
তিনি বলেন, নারিন্দার এই কারখানায় এসব পানীয় উৎপাদন করে কামরাঙ্গীরচর, কাটাবন, নাজিরা বাজার, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন জায়গায় আউটলেটের মাধ্যমে পানীয়টি বিক্রি করে থাকে এ প্রতারক চক্রটি। রাজধানীর বিভিন্ন আউটলেট থেকে প্রতিদিন তিন-চারশ’ বোতল মাদক মিশ্রিত পানীয় বিক্রি হতো বলে জানান গ্রেপ্তাররা।