মৌলভীবাজারের রাজনগরে পুকুর থেকে ৪ সন্তানের জননী এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃতদেহের সাথে রশি দিয়ে বাঁধা ছিল একটি ড্রাম। অপর পা একটি কলসির মধ্যে ঢুকানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুরিকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মৌলভীচক গ্রামে বুধবার সকালে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মৌলভীচক গ্রামের কলিমুল্লাহর ছেলে লেচু মিয়া ওরফে লেইছ মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী মিনা বেগম (৪০) পারিবারিক কলহ চলছিল। এনিয়ে মিনা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে চলে যান। সেখানে বেশ কিছুদিন ছিলেন।
বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বি ও ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিলে ১০/১২দিন পূর্বে মিমাংসা করে দেন। বিরোধ মিটে গেলে মিনা বেগম স্বামীর বাড়িতে চলে আসনে। কিন্তু বুধবার সকালে মিনা বেগমের ছেলে হুমায়ূন ঘুম থেকে উঠে মা কে না পেয়ে পুরো বাড়িতে খোঁজ করে। কোথাও না পেয়ে পুকুর ঘাটে গিয়ে দেখে মায়ের লাশ ভাসছে। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন জড়ো হন।
বিষয়টি রাজনগর থানার পুলিশকে জানালে তারা গিয়ে লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের সময় দেখা যায় এক পা একটি কলসির মধ্যে ঢুকানো। গলা ও কোমরের সঙ্গে রশি বাধা। এতে একটি ড্রামও অপর পায়ে বাধা ছিল। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক ভাবে এটিকে হত্যা হিসেবেই দেখছে তারা।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করার সময় স্থাানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও ইউপি সদস্য মো. মাহবুবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। রাজনগর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিনা বেগমের স্বামী লেচু মিয়া ওরফে লেইচ মিয়া ও শাশুড়িকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।
ইউপি সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মিনা বেগম ও তার স্বামীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। আমিসহ স্থানীয় মুরব্বিরা মিলে তাদের সমস্যাটি মিমাংসা করে দেই। মিনা বেগম স্বামীর বাড়িও চলে আসেন। সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি তার মৃতদেহ পুকুরে ভাসছে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পূর্বে বিরোধ ছিল। বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মর্গে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শশুড়িকে থানায় আনা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি।