Logo
সর্বশেষ :
রাজনগরে ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজনগরে বিএনপি’র বিজয় মিছিল প্রেস রিলিজ : অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেছার আহমদ সানি মৌলভীবাজারে কৃষকদলের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল রাজনগরে জনসংখ্যা দিবস উদযাপন রাজনগরে মিষ্টির কারখানায় ঢুকতে না দেয়ায় যুবদল নেতার হামলা, আহত ২ ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ ভেবে হত্যা করা হয় ‘আইনজীবী সুজনকে’ রাজনগরে ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল রাজনগরে দারুল ক্বিরাত এবং বয়স্কদের সহীহ্ কুরআন প্রশিক্ষণের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ কর্মচারীদের মধ্যে শিবিরের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

বউকে ফিরিয়ে নিতে যুবকের অভিনব নাটক

সারাবাংলা ডেস্ক : / ৩০৫
প্রকাশিত : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২

বউকে সংসারে ফিরিয়ে নিতে অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন এক যুবক। কৌশলের আদ্যোপান্ত জেনে-বুঝে  সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ। যুবক স্বামী গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ির নিকটবর্তী মেহগনিবাগানে হাত-পা-মুখ বেঁধে নিজের জীবনকে সংকটাপন্ন করে তোলার অভিনয় করে বিমুখ স্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। সিনেমার গল্পের মতো শোনালেও ঘটনাটি গত ২ অক্টোবর গভীর রাতে আলমডাঙ্গায় ঘটেছে। অবশেষে সকালে থানার ওসির সহযোগিতায় স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

 

পুলিশ জানিয়েছে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চকহারদী গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে রাজন (২২) তিন বছর আগে আলমডাঙ্গার রাধিকাগঞ্জের স্বামী পরিত্যক্তা নার্গিস বেগমের মেয়ে জুলিকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। রাজন-জুলির সংসার ভালোই চলছিল। হঠাৎ করেই সংসারের আকাশে নেমে আসে কালো মেঘের ঘনঘটা। জুলি ছেলেকে নিয়ে বেশ কয়েক মাস মায়ের কাছে আলমডাঙ্গাতে বসবাস শুরু করেন।

 

স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে অনেক দেনদরবারও করেন। কোনো কাজ হয় না। কোনো কিছুতেই জুলির মন গলে না। উল্টো রাজনের নামে চুয়াডাঙ্গার আদালতে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেন। এ ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়েন রাজন। বউ-ছেলে ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি।

 

দিশাহারা রাজন এরপর শ্রীরামপুরে তার এক খালাতো ভাইয়ের সহযোগিতা চান। দুই ভাই মিলে অভূতপূর্ব এক নাটক সাজান। পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ সংলগ্ন মীর এলপিজি গ্যাস স্টেশনের পেছনে মেহগনিবাগানে যান তারা। খালাতো ভাই ঝন্টু মোটা দড়ি দিয়ে রাজনের হাত-পা শক্ত করে বাঁধেন। মুখটাও বাঁধা হয়। এরপর ঝন্টু চলে গেলে রাজন গোঁঙানির মতো শব্দ করতে থাকেন। পাশের মাহমুদুল কাউনাইনের বালু ব্যবসার নৈশ প্রহরী শীতল আলী মানুষের গোঁঙানির শব্দ শুনে মেহগনিবাগানে যান।

 

তিনি দেখতে পান হাত-পা বাঁধা প্রায় অচেতন এক যুবককে। শীতল পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে রাজনকে থানায় নিয়ে যায়। থানার ওসি সাইফুল ইসলাম রাজনকে নানা কৌশলে  জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, রাজন স্ত্রীর সহানুভুতি পেতে অভিনব এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। রাজন এর আগেও স্ত্রীর মন গলাতে নানা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর শেষ চেষ্টা হিসেবে তিনি নিজের জীবন হুমকির ভেতর ঠেলে দেওয়ার অভিনয় করেন।

 

রাজনের নির্দোষ নাটকের আদ্যোপান্ত জেনে-বুঝে  থানার ওসি জুলি ও তার মা নার্গিস বেগমকে থানায় ডেকে নেন। গভীর রাতের নাটকের কাহিনি জেনে স্ত্রীর মন গলে যায়। স্বামীর প্রতি তার মায়া জেগে ওঠে। জুলি স্বামীর সাথে শ্বশুরবাড়িতে যেতে রাজি হন। রবিবার দুপুরের পর রাজন বউ-ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যান।

 

ভেঙে যাওয়া একটি সংসার জোড়া লাগিয়ে দিতে পেরে যারপরনাই খুশি হন থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, রাজন বউ-ছেলেকে ফিরে পেতে এর আগেও নানা চেষ্টা করেছেন। তাতে স্ত্রীর মন গলেনি। এরপর তিনি অভিনব এই নাটক সাজান। সব কিছুর পরে একটি সংসার জোড়া লেগেছে এতেই তিনি খুশি বলে মন্তব্য করেন।


আরও পড়ুন
Theme Created By ThemesDealer.Com
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।
© অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। কপি না করে নিজে লিখুন।