মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজারের ব্যাবসায়ী মুন্সি জয়নাল মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। টেংরা বাজার কমিটি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়কের টেংরা বাজারে এ মানববন্ধন করা হয়। এদিকে, হত্যাকান্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রধান আসামী মুসা সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুলাউড়া থানার পুলিশ।
টেংরা বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাজনগর সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, টেংরা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম তরফদার, নিহত মুন্সি জয়নাল মিয়ার চাচা মুন্সি আব্দুল আজিজ, সমাজকর্মী দুলাল আহমদ রিফাত প্রমুখ।
এদিকে জয়নাল মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়ারর জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মনু মিয়া (৫০) ও তার শ্যালক জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর এলাকার বাসিন্দা শরীফ আহমদ (৩২) কে কুলাউড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে বুধবার রাতে প্রধান আসামী জয়চন্ডী ইউনিয়নের পাঁচপীর জালাই এলাকার মসনবীউর রহমান মুসাকে (৩৫) ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবা থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটক মুসাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার ওসি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, ইতোমধ্যে জয়নাল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হত্যা মামলাটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য- গত ৭ নভেম্বর মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজারের ফল ব্যবাসায়ী মুন্সি জয়নাল মিয়াকে কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পূর্ব রংগীরকুল এলাকার নোয়া বাগিচা বাগানের পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার হাল্লাচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। মৃত্যুর আগে আহত জয়নাল মিয়া স্থানীয় একজনের ফেইসবুক লাইভে হত্যাকারীর নাম উল্লেখ করেন। সেখান থেকে তাকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।