কুলাউড়ায় হত্যাকান্ডের শিকার রাজনগরের টেংরা বাজারের ফল ব্যবসায়ী মুন্সি জয়নাল মিয়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মো. মসনবী উর রাহিম ওরফে মুছা (৩৩) কে আটক করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে মুছাকে সোপর্দ করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মুছা জয়চন্ডী ইউনিয়নের পাঁচপীর জালাই এলাকার সামছুল আলমের ছেলে।
আসামীর পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মুন্সি জয়নাল হত্যার পর মূল পরিকল্পনাকারী মুছা গোপনে পালিয়ে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন গৌরাংগোলা গ্রামে তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরিবারের লোকজন তাকে সেখানে আটকে রাখার জন্য বোন ও বোন জামাইকে অনুরোধ করেন। পরে বুধবার (৯ নভেম্বর) সেখানে গিয়ে কসবা থানা পুলিশের সহায়তায় গভীর রাতে গিয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ মুছাকে আটক করে।
পরিবারের লোকজন আরও জানান, মুছা রাজনগর উপজেলার উত্তর দত্তগ্রাম জামে মসজিদে বেশ কিছুদিন ইমামতি করেন। ৪ বছর আগে সেই মসজিদ থেকে ইমামতি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তবে ফল ব্যবসায়ী মুন্সি জয়নাল মিয়া ও মুছার পরিবারের সাথে মুছার সু-সম্পর্ক ছিলো।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইন চার্জ মো. আব্দুছ ছালেক ঘাতক মুছাকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওনা টাকার জন্য ফল ব্যবসায়ী মুন্সি জয়নাল মিয়াকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেন মুছা।
উল্লেখ্য- গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজনগরের টেংরা বাজারের ব্যবসায়ী মুন্সি জয়নাল মিয়াকে কবিরাজ দেখানোর কথা বলে পূর্ব রংগীরকুলের নোয়াবাগিচা এলাকায় নিয়ে যায় মুছা তার গংরা। সেখানে যাওয়ার পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জয়নাল মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।