নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ কহিনূর বেগম (৩০) হত্যার দায়ে তার স্বামী মো. মিল্লাদের (৩৫) মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক সামছুদ্দিন খালেদ এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী শিশু ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মর্তুজা আলী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. মিল্লাদ সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরমজিদ গ্রামের মো.শাহজাহানের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামী রিকশা চালক মিল্লাদ ২০১৭ সালের ২ মার্চ বিকালে রিকশা নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী তাকে পান আনতে বলেন। ওইদিন রাতে বাড়িতে পান না নেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিল্লাদ তার স্ত্রীর ওড়না দিয়ে তাকে গলায় প্যাঁচ দিয়ে হত্যা করে।
পরে লাশ গুম করতে বসত ঘরে স্ত্রীর মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে সে জেলা শহর মাইজদী গিয়ে গা ঢাকা দেয়। মিল্লাদের শ্বশুড় বাড়ি পাশাপাশি এলাকায় হওয়ায় সেখান থেকে তার বাচ্চা গিয়ে মাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে।
খবর পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন গিয়ে বসত ঘর থেকে গৃহবধূ কহিনূরের লাশ উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মিল্লাদকে ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় গ্রাম্য সালিশের লোকজন। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই বেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে মিল্লাদকে আসামি করে নোয়াখালীর চরজব্বর থানায় হত্যা মামলা করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো.মিরাজ উদ্দি জুয়েল বলেন, বিজ্ঞ আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কোন সাক্ষী সংজ্ঞায়িত ভাবে বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেন নি। তারা বিষয়টি দেখেনি, শুনেছেন। কিন্তু আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত শুনানি শেষে মিল্লাদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করবে।