ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়েও এক সময় ছিলেন সক্রীয়। তখন মাত্র আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দলটির কমিটি না হওয়ায় পদপদবী পান নি। মিছিল-মিটিংয়ে ছাত্রদল নেতাদের সাথে তার ছবিও রয়েছে। পরে ধীরে ধীরে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। ২০১৪ সালে রাজনগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদও পেয়ে যান তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতাদের কল্যাণে। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে ছাত্রলীগে আসা সেই নেতা এবারে স্থান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ উপকমিটিতে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। আলোচিত এই নেতা হলেন- রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গয়ঘড় গ্রামের উমাপদ দত্তের ছেলে অনুপম দত্ত। বর্তমানে তিনি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে নকলনবিশ হিসেবে চাকরী কর্মরত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী (কেরানী) উমাপদ দত্তের ছেলে অনুপম দত্ত ছাত্রজীবন শুরু করেন ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে। পিতার কল্যাণে ২০১১ সালেই ঢুকে পড়েন রাজনগর সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে কপিস্ট হিসেবে। ধীরে ধীরে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতে জড়িয়ে রাজপথে মিছিল-মিটিংয়ে সক্রীয় ছিলেন। কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসার কথা ছিল তার। এমন তথ্য জানান সে সময়কার বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতা। সেসময় দীর্ঘদিন ছাত্রদলের কমিটি না হওয়ায় সুবিধা করতে পারেন নি। পরে ধীরে ধীরে সুযোগ বুঝে বনে যান ছাত্রলীগ নেতা। জেলা-উপজেলার নেতাদের নজর কেড়ে ২০১৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়ার একক স্বাক্ষরিত রাজনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ ভাগিয়ে নেন। গত ৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষরিক প্যাডে অনুপম দত্তকে ৩০ তম জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ উপ কমিটিতে তাকে সদস্য রাখা হয়েছে।
রাজনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রায়হান আহমদ বলেন, অনুপম দত্ত ছাত্রদলের সক্রীয় সদস্য ছিল। আমাদের সাথে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল মিটিংও করেছে। কলেজ কমিটিতে সে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার কথা ছিল। পরে সে আস্তে আস্তে নিষ্ক্রীয় হয়ে যায়। ছাত্রলীগের কমিটিতে আসার বিষয়ে বলেন বিষয়টি আমার তেমন জানা নেই।
এব্যাপারে অনুপম দত্ত বলেন, আমি ছাত্রদলের সাথে কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না। ২০১৪ সালে ছাত্রলীগের কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেয়া হয়। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আমি সক্রীয়। ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে আমি সভাপতি পদপ্রার্থী। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমিনের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ নি।