মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় রাজনগর সরাকরি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তখজুল ইসলামের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তার বাবা আহত হয়েছেন। এঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন তার বাবা।
গতকাল ৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাঙ্গালিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। ওইদিন রাত থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ ছাত্রআন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়করা উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী স্থাপনায় ভাংচুর করেন। বিভিন্ন দোকানপাটে লুটপাট চালানো হয়। ভেঙ্গে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। পুরো উপজেলা জুড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের বাড়িতে হামলা করেন তারা। গতকাল ৬ আগস্ট সকালে রাজনগর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তখজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা তখজুল ইসলাম ও তার ভাই মুন্সিবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তারেক আহমদকে খুঁজতে থাকে। তাদেরকে না পেয়ে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। তাদের বাবা তুয়াকুল আলী গিয়ে হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করে। তখজুল ও তারেক বিদেশে অবস্থান করছে জানালে হামলাকারীরা উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকে ‘তারা দেশে ফিরলে হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দেয়া হবে।’ এসময় তারা তখজুল ও তারেককে হত্যার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে চলে যায়।
হামলায় আহত তুয়াকুল আলী বলেন, আমার ছেলেরা আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনীতি করে আসছে। তারা কারো ক্ষতি করে নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় আমার ছেলেদের মেরে ফেলতে বিএনপি-জামায়তসহ ছাত্র সমন্বয়করা আমার বাড়িতে এসে ভাংচুর করেছে। বাধা দিলে আমাকে তারা মারধর করে আহত করেছে। আমার ছেলেরা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করতে চাইলেও পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না।
এঘটনায় রাজনগর থানার ওসির মো. আব্দুছ ছালেকের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল করলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।